মজার মজার গল্প



গল্প  নং ০১:   

 হাসতে হাসতে লুঙ্গি খুলে গেলে আমি
দায়ী নয়.........!!!!

এক জন বিরাট ধনী তার বাগান- বাড়ির পেছনের পুকুরে কুমির পুষতেন। একদিন তিনি তার বাড়িতে
বিশাল এক পার্টি দিলেন। নানা জায়গা থেকে বহু লোক এলো সেই পার্টিতে। প্রচুর মদ্যপান আর খাওয়া দাওয়ার পরে পুরাতন কালের মহারাজদের স্টাইলে ধনী লোকটি ঘোষণা করলেন:-

 যে সাহস করে কুমির ভর্তি পুকুরটি সাঁতরে পার হতে পারবে ।
 তাকে তিনি হয় এক কোটি টাকা দেবেন,  না হয় তিনি তার কাছে তার
সুন্দরী কন্যাকে সমর্পণ করবেন।
কথাটি শেষ না হতেই ঝপাং করে একটি শব্দ।


দেখা গেল এক জন লোক প্রান পণে সাঁতরাচ্ছে আর তার পিছনে তিনটা কুমির তাড়া করছে। সবাই পাড়
থেকে লোকটা কে অজস্র উৎসাহ  জুগিয়ে চলল। লোকটা অবশ্যই ভালই সাঁতার কাটে তার উপর প্রাণের মায়া। কোন মতে হাঁপাতে হাঁপাতে অক্ষত অবস্থায়
অন্য পাড়ে উঠলো।

 ধনী লোকটি এগিয়ে এসে লোকটির হাত ধরে বললেন :-
আমি বিশ্বাস করতে  পারিনি, এত সাহস দেখানোর মত ক্ষমতা কারও থাকতে পারে।
ইয়ং ম্যান তুমি কি চাও? আমার কন্যা,
-না এক কোটি টাকা?
লোকটি তখনও হাঁপাচ্ছে। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,
আমি আপনার কন্যাকেও চাইনা,আপনার এক কোটি টাকাও পেতে চাই না।
আমি শুধু জানতে চাই কোন শালায়
আমারে
ধাক্কা মারছে....  
    




******

গল্প নং ০২ 



এক যুবকের ধারণা শহরের মেয়েদের চেয়ে গ্রামের মেয়েদের চরিত্র অনেক ভালো। তাই সে সিধ্দান্ত নিল গ্রামে বিয়ে করবে। করলোও তাই। নতুন বউ নিয়ে শহরে রিক্সায় যাওয়ার সময় এক জায়গায় এসে দেখলো অনেকগুলি মেয়ে দাড়িয়ে বাজে ইংগিত করছে। 

বউ জিগ্যাসা করলো এরা কারা ?
স্বামী বললো, এরা পতিতা, টাকার বিনিময়ে পুরুষেরা এদেরকে ভোগ করে। 
স্ত্রী আবার প্রশ্ন করলো, তা কত টাকা পায় এরা?
স্বামী বললো: একশো, দু'শো, পাঁচশো বিভিন্ন রকম রেট আছে। স্ত্রী আশ্চয হয়ে বললো: এত টাকা! তাহলে তো আমার খালাতো ভাইয়ের কাছে আমি অনেক টাকা পাবো।


গল্প নং03: 

 বল্টু রোজ রাতে বিছানায় হিসু করে দেয়,,
:
বল্টুর স্ত্রী রোজ বিছানা
পরিষ্কার করতে করতে হাঁপিয়ে গেছে ।
একদিন বল্টুর স্ত্রী বলল , 

এত বড় হয়ে গেছ আর এখনও বিছানায় হিসু করো,
তোমার লজ্জা করে না ? :
বল্টু বলল; ঘুমের় মধ্যে শয়তান বলে , হিসু কর সোনার বাটি দিব তখন হিসু করে দিই, কিন্তু বেটা শয়তান সোনার বাটি না দিয়ে চলে যায় আর ঘুম থেকে উঠে দেখি বিছানায় হিসু করে দিয়েছি ।
:
এটা শুনে বল্টুর স্ত্রী বলল আজ যখন শয়তান সোনার বাটি দেওয়ার কথা বলবে তখন বলবে আগে সোনার বাটি দে তারপর হিসু করবো ।
এটা শুনে বল্টু ঘুমিয়ে গেল । ঘুমের মধ্যে আবার শয়তান হাজির ।
শয়তান বলল হিসু কর সোনার বাটি দিব । এবার বল্টু বলল আগে সোনার বাটি দে তারপর হিসু করবো,, :


এই কথা শুনে শয়তান চিন্তায় পড়ে গেল । বলল: দেখ সোনার বাটি আমার কাছে নাই, তো চল রাজার বাড়ি যাই চুরি করতে ।
: বল্টুও রাজি হয়ে গেল । দুই জন গেল রাজার বাড়ি চুরি করতে ।
:
শয়তান সোনার বাটি চুরি করে চলে আসার সময় রাজা দুই জনকে দেখে ফেলে ।
শয়তান আর বল্টু প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালায় । রাজাও তাদের পিছু পিছু দৌড়ায়,
দৌড়াতে দৌড়াতে শয়তান ডাব গাছে উঠে পড়ে, পিছনে বল্টুও গাছে উঠে যায় । কিন্তু রাজা বল্টুর পা ধরে ফেলে
:
এখন উপায় না দেখে বল্টু শয়তানকে জিজ্ঞাসা করল: রাজা আমার পা ধরে নিয়েছে, এখন কি করবো । :
শয়তান বলল রাজার মাথায় হাগু করে দে ।
: বল্টু শয়তানের কথা মত রাজার মাথায় হা
গু করে দেয় । বাকিটা ইতিহাস ।   


 গল্প নং০৪: 
 এক ভদ্র মহিলা কেনাকাটা শেষ করে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে পেমেন্ট দেয়ার জন্য ব্যাগ খুলতেই ক্যাশিয়ারের নজরে এলো তার ব্যাগে একটি টিভি রিমোট।
ক্যাশিয়ার: (কৌতুহলবশত, জানতে চাইলেন) ম্যাডাম ব্যাগে টিভি রিমোট কি সব সময় থাকে?
মহিলা: না, মাঝে সাজে। আজ আমার হাজব্যান্ড আইপিএল ফাইনাল দেখবে বলে আমার সাথে শপিংয়ে এলোনা। তাই জব্দ করতে টিভি রিমোটটা ব্যাগে করে নিয়ে এসেছি।
শিক্ষা:
(১) বউ এর তুচ্ছ বিষয়েও তাচ্ছিল্য করলে বিপদ।
ক্যাশিয়ার: (হাসতে হাসতে) ভদ্র মহিলার এটিএম কার্ডটি ফেরত দিতেই-
মহিলা: এটা কি হলো?
ক্যাশিয়ার: আপনার স্বামী ওনার সাপ্লিমেন্টারি কার্ডটি সম্ভবত ব্লক করে দিয়েছেন।
শিক্ষা:
(২) স্বামীর শখও স্ত্রীর নিকট সম্মানযোগ্য।
মহিলা: ব্যাগ থেকে এবার স্বামীর এটিএম কার্ডটি বের করে সোয়াইপ করলেন।
শিক্ষা:
(৩) বৌ-এর লম্বা হাতের সঠিক ধারণা থাকা দরকার।
ক্যাশিয়ার: ভদ্র মহিলাকে বললেন, সোয়াইপ মেশিন থেকে আপনার মোবাইলে একটা পিন নম্বর পাঠানো হয়েছে। সেটি বলুন?
শিক্ষা:
(৪) বেচারা স্বামীকে বাঁচাতে মেশিনও চেষ্টা করে।
মহিলা: (মুচকি হেসে) ব্যাগ থেকে স্বামীর মোবাইল ফোনটা বের করলেন এবং পিন নম্বরটা ক্যাশিয়ারকে জানালেন। (বি: দ্র: স্বামীর মোবাইল ফোনটি তিনি সঙ্গে এনেছিল যাতে শপিংয়ের সময় স্বামী ফোনে বিরক্ত করতে না পারে।)
শিক্ষা:
(৫) স্মার্ট ও ভদ্র মহিলাদের সাথে টক্কর নিও না।
অবশেষে, সব কেনাকাটা সেরে তৃপ্ত মনে ভদ্রমহিলা ঘরে ফিরলেন।
বাড়ি ফিরে মহিলা দেখলেন, গ্যারেজে স্বামীর গাড়ি নেই।
ঘরের দরজায় স্টিকারে লেখা-
"বন্ধুর বাড়ি আইপিএল ফাইনাল খেলা দেখতে গেলাম। ফিরতে অনেক রাত হতে পারে। আর হ্যাঁ, কোন দরকার থাকলে মোবাইলে ফোন করো।"
স্টিকারে লেখা পড়ে-
হতাশ হয়ে ভদ্রমহিলা ঘরের দরজার সামনে বসে পড়লেন। কারণ-
বাড়ির চাবিটা স্বামীর কাছে! আর-
স্বামীর মোবাইল ফোনটা ভদ্র মহিলার কাছে!
শেষ শিক্ষা:
স্বামীর ওপর বেশি প্যাঁচ কষলে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকেও এর ফল ভোগ করতে হয়।
(সংগৃহীত)


গল্প  নং ০৫       


ছাত্র: স্যার একটা প্রশ্ন করতে পারি?
স্যার: অবশ্যই,
ছাত্র: আপনি একটা হাতিকে ফ্রীজ এ ঢুকাবেন কিভাবে?
স্যার: আমি জানিনা
ছাত্র: এইটাতো খুব সোজা, ফ্রীজ এর দরজা খুলে হাতিকে ফ্রীজে ঢুকিয়ে দিলেই হবে, আরেকটা প্রশ্ন আছে স্যার!
স্যার: ঠিক আছে জিজ্ঞেস করো।
ছাত্র: ফ্রীজে একটা গাধাকে কিভাবে ঢুকানো যায়?
স্যার: এটাতো খুব সোজা, ফ্রীজ খুলে গাধাকে ঢুকিয়ে দিলেই হয়।
ছাত্র: না স্যার, প্রথমে ফ্রিজ খুলে হাতিকে বের করে নিয়ে তারপর গাধাকে ঢুকিয়ে দিতে হবে।
স্যার: ও হ্যা হ্যা ঠিক।
ছাত্র: আমি আরেকটা প্রশ্ন করছি স্যার, যদি সব পশু সিংহের জন্মদিনের পার্টিতে যায় তার মধ্যে একজন নিখোঁজ থাকে সেটা কোনটা!
স্যার: অবশ্যই সিংহ নিজে কারণ সে সব প্রাণীকে খেয়ে ফেলবে।
ছাত্র: না স্যার, সেটা গাধা কারন গাধাটা এখনো ফ্রীজের ভিতরে রয়েছে।
স্যার: তুমি কি আমার সাথে ফাজলেমি করছো?
ছাত্র: না স্যার, শেষ প্রশ্ন।
স্যার: ঠিক আছে।
ছাত্র: একটা কুমিরভর্তি নদী পার হতে আপনি কি করবেন?
স্যার: এমনিতে সম্ভব নয়, একটা নৌকা হলে পার হওয়া যেতে পারে।
ছাত্র: না স্যার, আপনি খুব সহজে সাঁতার কেটে পার হতে পারবেন কারন কুমিরেরা তো সিংহের জন্মদিনের পার্টিতে!
অত:পর স্যার বেহুশ!


গল্প  নং ০৬:
 আসুন ভাই সবাই সবাই মিলে একটু হাসি।।।।।
*** ৩ বাটপার বন্ধু বহুদিন পর দেখা ।
তো এক
রেস্টুরেন্টে খেতে গেলো । ১জন
ওয়াশ রুমে গেলো...
বাকী ২ জন আলাপ করছে ।
আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে-

মফিজঃ তারপর দোস্ত,
বাচ্চা কাচ্চা কয়টা ?
আবুলঃ আমার একটাই ছেলে । আমার মতোই বুদ্ধিমান । ভার্সিটিতে পড়ে। বিরাট বড়োলোকের একমাত্র মেয়েকে পটাইছে। মেয়েকে ইম্প্রেস করার জন্য একটা গাড়ি গিফ্ট করছে । একবার বিয়ে হয়ে গেলে, মেয়ের বাপের সব প্রোপার্টি আমার ।
.
মফিজঃ আমারও একটাই ছেলে । আমার মতোই বুদ্ধিমান । ভার্সিটিতে পড়ে । সেও বিরাট বড়োলোকের একমাত্র মেয়েকে পটাইছে । মেয়েকে ইম্প্রেস করার জন্য ফ্লাট গিফ্ট করছে । ভালোয় ভালোয় বিয়েটা হয়ে গেলেই, মেয়ের বাপের সব প্রোপার্টি আমার । .
এর মধ্যে তৃতীয় বন্ধু এলো ।
১জনে জিগাইলো, দোস্ত
তোর ছেলে মেয়ে কয়টা ?
মতলবঃ আমার এক মেয়ে, আমার মতোই ধান্দাবাজ । ২ পোলার নাকে দড়ি দিয়া ঘুরাইতেছে । ১জন দিছে ফ্লাট আর ১জন দিছে গাড়ি । আগামীতে আরো অনেক কিছু আদায় করার প্লান আছে ।

০৭ :
 বল্টু আর পল্টু দুই বন্ধু বেড়াতে গেল
জাপান। তারা সেখানে বড় একটা
হোটেলে উঠল।
:
পল্টুঃ খুব খিদে পেয়েছে দোস্ত।
:
বল্টুঃ তোর এই খাই খাই সভাবটা
আর গেলনা।
:
পল্টুঃ চল না, দোস্ত
:
বল্টুঃ বল কি খাবি ?
:
পল্টুঃ তুই ওর্ডার দে।
:: ::::::
বল্টু ওয়েটার কে ডাকল
ওয়েটার খাবারের মেনু
বইটা দিল। বল্টু ভাষা না
বুঝে আন্দাজে একটা টিক
দিয়ে দিল। একটু পরে খাবার
আসল, পরাটা আর মাংস
দু'জনে খুব মজা করে খাচ্ছে
:
বল্টুঃ খুব টেস্ট, এটা খাসির মাংস
:
পল্টুঃ আরে দুর ব্যাটা এটা গরুর মাংস
:
এই নিয়ে দু'জনের মাঝে ভিশন ঝগড়া
লোকজন জরো হয়ে গেল,ওয়েটার কে
ডাকল। ওয়েটারত এদের ভাষা বোঝেনা।
তাই এরা মাংসের টুকরা হাতে নিয়ে।
:
বল্টুঃ এইটা,,, ম্যা ম্যা,,,,,,,
:
পল্টুঃ এইটা,,, হাম্বা হাম্বা,,,,,,
:
ওয়েটার কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল
:
:
ইট'স,,,,, ঘেউ ঘেউ,,,,,,


০৮:
 ব্যস্ত এক ডাক্তার বিয়ে করলো এক সাধারণ মেয়েকে।
বিয়ের পর থেকেই বউ চাইত, তার স্বামী
তাকে সময় দিক।
কিন্তু ব্যস্ততার জন্য স্বামী বেচারা স্ত্রীর সেই সাধ পুরন করতে প্রথম থেকেই ব্যর্থ। এ জন্য বিয়ের পরের দিন থেকেই বউ তার স্বামীর ওপরে অনেক
বিরক্ত।
একদিন সকালে হাসপাতালে যাওয়ার আগে
স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে............
স্ত্রীঃ এই দরজার লক টা না নষ্ট হয়ে গেছে। একটু ঠিক করে দেবে ?
স্বামীঃ কেন !! আমাকে কি তোমার তালা-চাবির মিস্ত্রি মনে হয় ? এখন সময় নেই।
কদিন পর...
স্ত্রীঃ এই শোন না, টয়লেটের ফ্লাস টা ঠিকমতো কাজ করছে না। একটু ঠিক করে দেবে প্লিজ ??
স্বামীঃ কেন!! আমাকে কি তোমার প্লাম্বা মনে হয়?? এখন সময় নাই।
আরও কদিন পর...
স্ত্রীঃ এই শোন না, বারান্দায় ২ টা ফুলের টব রাখতে চাচ্ছি। আমার আবার বাগান করার খুব সখ... এনে দিবে প্লিজ...
স্বামীঃ কেন ? আমাকে কি তোমার মালি মনে হয়? এখন সময় নাই।
- এই বলে ডাক্তার স্বামীটি ডিউটি তে চলে গেল ভাব দেখিয়ে।
রাতের বেলায় বাসায় ফিরে দেখে বারান্দায় নতুন ফুলের টব, দরজায় নতুন লক আর টয়লেটের ফ্লাশটাও ঠিক হয়ে গেছে!!
এই দেখে স্বামী বলল, মিস্ত্রি ডেকেছিলে নাকি??
স্ত্রীঃ না, বাড়িওয়ালা ঠিক করে দিয়েছে। আরও বলছে, বৌদি আপনি যা যা চাইবেন সব করে দিতে পারি।তবে আমার দুটো টা শর্ত আছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কি শর্ত ? বাডীওয়ালা বলল, হয় আমারে চিকেন ফ্রাই খাওয়াতে হবে, অথবা আমার সাথে ডেটিং এ যেতে হবে।
স্বামীঃ তুমি নিশ্চয়ই ওকে চিকেন ফ্রাই
খাইয়েছ ...
স্ত্রীঃ কেন ! ! আমাকে কি তোমার কেএফসি-র ওয়েটার মনে হয়???


 ০৯:
এক ইঞ্জিনিয়ার
কিছুতেই চাকরি পেলনা। তখন সে একটা ক্লিনিক খুলল আর  বাইরে লিখে দিল, “৩০০ টাকায় যে কোনো রোগের  চিকিৎসা  করান। চিকিৎসা না হলে এক হাজার টাকা ফেরৎ।“
.
এক ডাক্তার ভাবল:


 এক হাজার টাকা রোজকার করার একটা দারুণ সুযোগ...সে সেই ক্লিনিকে  গেল আর বলল “আমার  কোন জিনিষ খেতে গেলে তাতে কোন স্বাদ পাইনা।“
.
ইঞ্জিনিয়ার নিজের নার্সকে বলল:, “২২ নাম্বার বক্স থেকে ওষুধ বার কর আর ৩ ফোটা খাইয়ে দাও।“
.
নার্স খাইয়ে দিল।
.
রুগী (ডাক্তার)–  “আরে, এটা তো পেট্রোল।“
.
ইঞ্জিনিয়ার–:
“Congratulation ...দেখলেন তো আমাদের ক্লিনিকের ক্ষমতা ।  আপনি টেস্টটা জিভে পেয়ে গেছেন। এবার আমাকে আমার ৩০০ টাকা ফীটা দিয়েদিন।
.
কিন্তু ডাক্তার ভীষণ চতুর। ভাবলো, একে টাইট করতে হবে, আর পয়সাটাও উসুল করতে হবে। তাই আবার কিছুদিন পর সে সেই  ক্লিনিকে এল।
.
ডাক্তার– “সাহেব,  আমার মেমরী কমে গেছে। কিছুই মনে থাকেনা।“
.
ইঞ্জিনিয়ার– “নার্স, এনাকে সেই ২২ নাম্বার বক্স থেকে ৩ ফোটা দাও।“
.
রূগী (ডাক্তার)– “কিন্তু স্যার, ওটা তো স্বাদ ফিরে পাওয়ার ওষুধ।“
.
ইঞ্জিনিয়ার– “দেখলেন তো ওষুধ খাওয়ার আগেই আপনার মেমরী ফিরে এসেছে। দিন, আমার ৩০০ টাকা।“
.
এবার ডাক্তার বেশ রেগেই বাড়ি গেল আর আবার কিছুদিন পর ক্লিনিকে এসে বলল “স্যার, আমার  দৃষ্টিশক্তি  একেবারেই কমে গেছে। সবই খুব ঝাপসা দেখছি।“
.
ইঞ্জিনিয়ার– “এর কোন ওষুধ আমার  কাছে নেই। এই নিন, আপনার ১০০০ টাকা।“
.
রুগী (ডাক্তার)– “কিন্তু এটা তো ৫০০ টাকার নোট।“
.
ইঞ্জিনিয়ার– “দেখুন, আপনার দৃষ্টিও ফের এসে গেছে। দিন আমার ৩০০ টাকা।“


১০:
 বাস ড্রাইভার বল্টু:
এক্সিডেন্ট করে বাস নিয়ে রাস্তার পাশে জমির ভিতর ঢুকে পড়ে, পুলিশ কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে আসে |
তো পুলিশ বল্টুকে জিজ্ঞাস করল:
বেটা গর্ধব ! ফাকা রাস্তায় এরকম এক্সিডেন্ট করলি কেন? " বল্টু বলল ," স্যার,আমি তো ভালো ভাবেই বাস চালাচ্ছিলাম
হটাৎ করে এক পাগল রাস্তার মাঝে এসে নাচতে শুরু করল। আমি ভাবলাম যদি পাগলটাকে বাচাতে চাই , তাহলে বাসের সবাইকে মরতে হবে, আর যদি বাসের সবাইকে বাচাতে চাই , তাহলে পাগলটাকে মারতে হবে।  যেহেতু একজনের চেয়ে সবাইকে বাচানো ভালো, তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম পাগলটাকেই মারবো !! 


পুলিশ:" তাহলে বাস জমির দিকে চালালি কেন ?

বল্টু : স্যার, আমি যখন পাগলটাকে মারতে গেলাম,, তখন দেখি পাগলটা দৌড়ে জমির ভিতর ঢুকে গেল, তাই আমিও বাস নিয়ে ওর পিছু নিয়েছিলাম ।।


১১: 
 বল্টুকে অতিরিক্ত স্পিডে গাড়ি চালানোর দায়ে ট্রাফিক পুলিশ দাঁড় করালো...
পুলিশঃ কী ব্যাপার, এত স্পিডে চালাচ্ছিলেন কেন?
বল্টুঃ কী করবো ? আমার তো লাইসেন্স নেই।
পুলিশঃ কী সর্বনাশ লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন?
বল্টুঃ কী আর করা। আমার স্ত্রীকে হঠাৎ খুন করে ফেললাম। লাশটাকে তো গুম করতে হবে। পুলিশঃ (ভড়কে গিয়ে) লাশ কই?
বল্টুঃ বনেটে আছে। সঙ্গে সঙ্গে ওয়্যারলেসে সবখানে খবরটা জানিয়ে দিলেন ট্রাফিক
পুলিশ : তার মনে একজন ভয়ংকর অপরাধী ধরার সাফল্যে প্রমোশনের  আশা করা যায় ।
পুলিশের বড় কর্তা সবা্‌ই এসে হাজির, সঙ্গে মিডিয়া। বল্টুকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরা হলো।

  বড় কর্তা জিজ্ঞেস করলেনঃ 'তুমি নাকি খুন করেছো?'
শুনে বল্টু চেঁচিয়ে উঠলঃ 'এই পুলিশ একটা মিথ্যুক। ঘুষ না পেয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে। আমি খুনটুন কিছু করি নি।'


বড় কর্তা বল্টুর কথায় কান না দিয়ে গাড়ির বনেট তুললেন। সেখানে কিছু নেই। পুরাই ফাঁকা। রাগত দৃষ্টিতে তিনি এবার ট্রাফিক পুলিশের দিকে তাকালেন।

 পুলিশ বেচারা আমতা আমতা করে বলতে লাগলেনঃ 'লোকটা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছে।'
 বল্টু সঙ্গে সঙ্গে চেঁচিয়ে উঠল, 'ব্যাটা মিথ্যুক, এটা কী?' এই বলে পকেট থেকে লাইসেন্সটা বের করে দিল।

 লাইসেন্স দেখে পুলিশ আমতা আমতা করে আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, তখন বল্টু চেঁচিয়ে উঠলো, 'বলুন, আরো বানিয়ে বানিয়ে বলুন।  এবার নিশ্চয়ই বলবেন যে আমি বেশি স্পিডে গাড়ি
চালাচ্ছিলাম!'......তখন পুলিশ হা করে দাড়িয়ে র্‌ইলো.........


১২:
আমার গার্লফ্রেন্ড আছে।
প্রায় ৭/৮ বছরের সম্পর্ক আমাদের।
প্রতিদিন আমাকে মেসেজ দিলেও আমাদের কোন কথা হয়না।
কারন তার শর্ত আছে তার সাথে দেখা করতে চাওয়া যাবেনা, ঘুরাঘুরি করা যাবেনা এমনকি ফোনেও কথা বলা যাবেনা।
আমি মেনে নিয়েছি। কারন সে যে আমার মত ছেলের গার্লফ্রেন্ড হতে চেয়েছে এটাই অনেক।
এবং আমি এটাও জানি সে আরো অনেকের সাথেই প্রেম করে। কিন্তু সে আমাকে ইগনোর করেনা। প্রতিদিন আমার খোঁজ নিবেই। কোনদিন ভুল হবেনা। 😍😍
তাই এটা ভেবে ভাল লাগে যে এতজনের সাথে প্রেম করলেও তার মনে এক টুকরা জায়গা আছে আমার জন্য, যার ফলে আমার কথা তার মনে পরে এবং মেসেজ দেয়।
বিজয়া দশমী উপলক্ষে অনেক প্ল্যান ছিল আমার তার সাথে। কিন্তু আজকে আর তার মেসেজ পাচ্ছিনা সকাল থেকে।😭😭 মনে দুশ্চিন্তা হলো।
.
আমার কথা কি সে আজ ভুলে গেলো? সে কি তার অন্য বয়ফ্রেন্ড দের নিয়েই বিজি হয়ে গেলো?😭
সারাদিন হয়তো পালা করে প্রত্যেক কে সময় দিবে এজন্য হয়তো আমার কথা ভুলে গেছে সে।
বাট আমি তো কম টাকা খরচ করিনি তার পেছনে। মাসে মাসে প্রচুর টাকা দেই তাকে আমি। কিভাবে পারলো সে আমাকে আজকের এই দিনে ভুলে যেতে!😭😭
how?? why??😭
কিন্তু আমার দুশ্চিন্তা কে নির্মূল করে দিয়ে দুপুর ২ টাতেই পেয়ে গেলাম তার মেসেজ। আরো কিছু মেসেজ পেলাম পরপরই।😍😍😍
সে আমাকে ভুলে নাই, এত বয়ফ্রেন্ডের ভিড়েও আমাকে মনে রাখছে।
সে আমাকে ভালোবাসে কিনা জানিনা। কিন্তু আমি তাকে ভালোবাসি। অনেক ভালোবাসি।



 ১৩:
 অনেকদিন কোন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে না। ফলোয়ার গুলোও ধিরে ধিরে কমে যাচ্ছে! সময়টাও ভালো যাচ্ছে না দিনগুলো কাটছে কিন্তু শূন্যতায়, দুঃশ্চিন্তায়। সারাদিন ডাটা অন থাকে অনেকে নক দেয় কিন্তু রিপ্লায় দিতে মন চায় না। আবার না দিলেও খারাপ লাগে ভাববে পার্ট নিচ্ছি! যাইহোক, এখন আমার ফলোয়ার বাড়াতে হবে কিছু একটা করতে হবে। গুগলিনং করে যা জানলাম প্রোফাইল পিকচার এট্রাকটিং দিতে হবে, যাবতীয় আপডেট গুলো সুন্দর করে সহজভাষায় দিতে হবে, আরো অনেক কিছু! যে কথা সেই কাজ। বরাবর ৩২টা পিক তুলে বেষ্ট পিকটাই দিলাম প্রোফাইল পিক। মনে মনে প্রমিজ করলাম প্রথম যে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসবে সেটা ঝুলিয়ে রাখবো না একসেপ্ট করে ফেলবো সে যেই হোক। ৩০মিনিট ধরে অপেক্ষা করছি হঠাৎ টং করে একটা নোটি এলো আর আমার চোখ সে যে দাঁড়িয়েছে আর কিছুই ভাবতে পারছি না। একবার ডানহাতের আঙুলটা চাপ করতে ইচ্ছে করে আর একবার বাম হাতের আঙুল। একদিকে প্রমিজ অন্যদিকে এক্স বিএফ। যার খবর দীর্ঘ তিন বছর ধরে নেওয়া হয় না। কেও কারো সাথে যোগাযোগ করি না। ব্রেকাপই বলা যেতে পারে। হঠাৎ তারই এভাবে আগমন খুব ভাবাচ্ছে আমাকে! কি করবো বুঝতে না পেরে মোবাইল হাতে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রইলাম হঠাৎ মা ডাকলো আর বামহাতের আঙুল দিয়ে চাপ পড়লো কনফার্ম রিকোয়েস্টে। যাহ্ বাবা! কি হলো এটা!! একসেপ্ট করার সাথে সাথে ম্যাসেজ দিলো
-- আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়ে গেছ! স্মার্ট, ডেশিং, কিন্তু ইনোসেন্ট লুকটাই চেঞ্জ করতে পারোনি আদৌ। ক্রাশ খেলাম নতুন করে!!
ম্যাসেজ দেখে আমি আবার মুর্ছা গেলাম। এই ছেলে কয়কি! তাহলে কি আবার প্রেমে পড়লো মিয়া চান?? হা হা হা।। যে তিনবছর আগে আমাকে ক্ষেত বলে চলে গেছিলো আমি নাকি তার স্টেটাসের সাথে যাই না। আমাকে আন্টি টাইপ লাগে। আমি হিজাব পড়ি বলে আমি অন্যদের মত টাইটফিট ড্রেস পড়ি না বলে আমি ক্ষেত। ব্লা.. ব্লা।
-- কি দিবো বুঝতে পারছিলাম না। তাই ৩টা স্মাইলি দিলাম শুধু।
অনেকক্ষণ ধরে সে কঢরকঢর করে টাইপ করছে.. কি লিখছে এত আল্লাহ্‌ মালুম। যাই হোক, এই ছেলেকে পাত্তা দেয়া যাবে না। যে লুক দেখে মানুষ জার্জ করে তাদের আমি ঘিন্না করি। পদ্মও তো নোংরা জায়গায় জন্মে তাই বলে কি পদ্মকে ভালোবাসবো না??বাপের টাকা আছে বলে প্রতি মাসে জেনটস পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল আর স্টাইলিশ দাড়ি কাটালে কেউ ভালো মানুষ হয়ে যায় না। ম্যান্টালিটি চেঞ্জ হয়ে যায় না। এটা আমি মানি। আমি আউটলুক চেঞ্জ করেছি ঠিক কিন্তু মেন্টালিটি চেঞ্জ করিনি, আমার বাবা মার দেয়া শিক্ষাকে বদলে যেতে দেইনি।
আবার ম্যাসেজ দিলো। ছেলেটার কথা ভেবে আমার মাথা খুব গরম হয়ে আছে কি বলতে কি বলি ঠিক নাই তাই অফলাইন হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখি লম্বা লম্বা করে লিখা ২২টা ম্যাসেজ। এখনো কঢরকঢর লিখছে!! ননস্টপ লিখেই যাচ্ছে। কি আজিব! মাথা আবার গরম হয়ে গেছে এত বড় রচনা না পড়ে সোজা ব্লক অপশনে গেলাম আর দিলাম ডানহাতে ব্লক করে। দেন এনটায়ার কনভারসেশনটাই ডিলিট করে দিলাম। প্রমান করে দিলাম অতিতের নোংরা মানুষের কোন জায়গা নেই আমার জীবনে। আমি একলা, আমি একা, আমি আলো, আমি সুচালো আমি তা যা আমার বাবা মা আমায় শিখিয়েছে!! মানুষ দেখতে যেমনি হোক মেন্টালিটি ম্যাটার করে অলওয়েজ। ভালোমানুষ দেখতে ক্ষেত হোক তাও ভালো।


১৪:
 বল্টু হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস নিচ্ছিলো।
বেডের পাশে নার্স,বল্টুর বউ,,দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
এবার বল্টু বলতে লাগলো :  তোমরা সবাই আমার প্রিয় তাই সবাইকে সব ভাগ করে দেব।
বল্টু বড় ছেলেকে বলল:  লালমাটিয়ার ১৭টি বাড়ি তুই নে।
\
ছোট ছেলেকে বললো:  তোমাকে আমি খুব পছন্দ করি তাই পুরান ঢাকার ২০টি বাড়ি তোমার।
এবার বল্টু তার বউকে বললো:  আমার যাবার পর তোমাকে যেন কারো কাছে হাত পাততে না হয় তাই গুলশানের ১৫টি ফ্লাট তোমাকে দিলাম।
*
নার্সতো পুরাই অবাক এই ছেড়া কাপর পড়া বৃদ্ধ এত বড়লোক  !  এবার নার্স বল্টুর বউকে বলতে লাগলো
আপনার অনেক বড় ভাগ্য যে আপনার স্বামী আপনাকে কত সম্পত্বি দিয়ে যাচ্ছে।
*
এবার বল্টুর বউ বলতে লাগল কিসের সম্পত্বি?
*
ও হলো দুধওয়ালা । এতক্ষন উনি আমাদের সকালের দুধ দেওয়া ডিউটি ভাগ করলেন।
*
নার্স অজ্ঞান।


১৫: একটু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন:-

রফিক'কে সেলসম্যান  হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে দোকানের বিক্রি ছয়গুন বেড়ে যাওয়ায় মালিক চিন্তায় পড়ে গেলো। এতো বিক্রি কিভাবে সম্ভব সেটা দেখার জন্য একদিন সে দোকানে গিয়ে দেখল রফিক এক ক্রেতার কাছে মাছ ধরার ছিপ বিক্রি করছে।
 রফিক ক্রেতার কাছে একটা ছিপ ২৫০ টাকায় বিক্রি করল, তারপর-
রফিকঃ স্যার এ-রকম জুতা পড়ে তো মাছ ধরা যাবে না, মাছ ধরতে হলে আপনার স্পোর্টস সু লাগবে।


ক্রেতা ১৬০০ টাকা দিয়ে স্পোর্টস সু কিনলো।
রফিকঃ রোদের মধ্যে যেহেতু অনেক সময় বসে থাকতে হবে তাই একটা ক্যাপও লাগবে। 

ক্রেতা একটা ক্যাপ  কিনলো।
রফিকঃ যেহেতু দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হবে তাহলে তো স্বাভাবিক ভাবে ক্ষুধাও লাগবে।
ক্রেতা কিছু বিস্কিট এবং চিপস কিনলো।
রফিকঃ মাছ যে ধরবেন সেইটা রাখবেন কিসে? আপনার একটা বস্কেট লাগবে মাছ রাখার জন্য।
ক্রেতা একটা বস্কেটও কিনলো।
এভাবে রফিক ক্রেতার কাছে মোট ২৫০০ টাকার পন্য বিক্রয় করলো। 


মালিক খুব খুশি হয়ে বললঃ “তুমি তো দেখি অনেক ভালো একজন বিক্রেতা, একটা মাছের ছিপ কিনতে আসা ক্রেতার
কাছে এতো কিছু বেচে ফেললা !”
রফিকঃ মালিক, আসলে ঐ ব্যাক্তি বৌয়ের জন্য স্যানোরা কিনতে আসছিল। আমি তাকে বললাম  চার দিন বাসায় বসে থেকে কি করবেন, সময় কাটানোর জন্য বরং মাছ শিকার  করেন.......


১৬:
স্কুলে নতুন স্যার এসেছে...পঞ্চম শ্রেনীর বল্টু সম্পর্কে অদ্ভুত একটা কথা প্রচলিত আছে...বল্টুর সাথে কেউ রাগ করে থাকতে পারেনা...তার সাথে যে যত রাগই করুক না কেন তার সীমানার মধ্যে ঢুকে পড়লে রাগ পানি হয়ে যায়...রাগ-অভিমান-কান্না হাসিতে বদলে যায়।
তো স্যার এই ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিল...বলে কি এতোটুকুন একটা পিচ্চি আর তার কিনা এমন ন্যাচারাল পাওয়ার যে তার সাথে কেউ রাগ করে থাকতে পারেনা!...যাইহোক স্যার সিদ্ধান্ত নিল পড়া না পারার অপরাধ আগামী কাল তাকে পেটাবে...এমন পড়া দিল যাতে সহজে কেউ আয়ত্ব করতে না পারে।
পরদিন, যথারিতি স্যার ক্লাসে আসল...এক এক করে পড়া ধরছে আর পিটাচ্ছে...টার্গেট বল্টুকে পেটানো...স্যার রাগে গড়গড় করছে...আজ ছাত্র-ছাত্রীরাও দেখতে উদগ্রীব বল্টুর সীমানায় স্যার ঢুকলে ঘটনা কি ঘটে...টানটান উত্তেজনায় সময় পার হচ্ছে...স্যার একজন একজনকে পিটিয়ে বল্টুর কাছে অগ্রসর হচ্ছে...বল্টুও স্যারের এই অবস্থ্যা দেখে ভয়ে একটু ঢুক গিলে নিল...
স্যার একেবারে বল্টুর সীমানার কাছাকাছি চলে এসেছে...হয়তো এর এক কদম পা বাড়ালেই স্যারের রাগ উবে যাবে...ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই স্যারের দিকে তাকিয়ে আছে...এই বুঝি বল্টুর যাদুকরী সীমানায় ঢুকে পড়ল...রাগান্বিত স্যার ইতিমধ্যেই বল্টুর সীমানায় ঢুকে পড়েছে মনে হয় কারন বল্টু অকারনেই হাসছে...সে কি হাসি, অট্টহাসি বলা যেতে পারে...স্যার তো অবাক পড়া না পারার অপরাধে সে তো ভয় পাবার কথা হাসছে কেন?...অবাক হলে মানুষের মোড পরিবর্তন হয়...স্যারেরও হয়েছে...রাগ উবে আশ্চার্য হয়ে বল্টুকে জিজ্ঞাস করছে...
স্যার: কিরে বল্টু তুই অমন হাসতাছস ক্যান?
বল্টু: স্যার বলতে পারবোনা...
স্যার: ক্যান বলতে পারবিনা কেন?
বল্টু: স্যার বলতে লজ্জা করছে...
স্যার: আরে লজ্জার কিছু নাই বলে ফেল...
বল্টু: স্যার আস্তে বলব না জোরে বলব?
স্যার: আস্তে কেন জোরেই বল সবাই শুনুক...
বল্টু: স্যার আপনার প্যান্টের চেইন খোলা...
আর কি ক্লাসের সবাই অট্টহাসিতে ফেলে পড়লো...স্যারও তাড়াতাড়ি তার প্যান্টের চেইন লাগাতে লাগলো।


১৭: 
 দম ফাটানো _মজার জোকস
বল্টুর একটা মুদ্রাদোষ আছে।  বল্টু যে কোন কথা বলার শেষে বলে বাল।
যেমন: ওর মা বলতেছে-
মা: কিরে বল্টূ ভাত খাবি না?
বল্টু: ভাত খাবো না বাল। .
সেই বল্টু S S C পরীক্ষা দিবে। স্কুলের স্যার রা বার বার বলে দিলো পরীক্ষার খাতাই যেন লেখা শেষে বাল না লিখে।
বল্টুর আজ বাংলা পরীক্ষা। তো পরীক্ষা শেষ আর মাত্র দুই মিনিট সময় আছে। বল্টু খাতা রিভিশন করতে গিয়ে দেখে প্রত্যেক লাইনের শেষে বাল লেখা। বল্টুতো অবাক এখন কি করে,বাল লেখাটা যে কেটে দিবে তার সময়ও নেই।
তবুও কিছু বাল লেখা কেটে দিলো।। 

হঠাৎ করে বল্টুর মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। খাতার শেষের পাতায় বড় করে কেঁদে কেঁদে লিখে দিলো।
. .
সার মহোদয় সময়ের অভাবে # সব_বাল কাটতে পারলাম না,  বাল... বাকী কয়টা আপনি কেটে নিবেন বাল...!


১৮: 
 দুই পাগল হাসপাতাল থেকে পালানোর পরিকল্পনা করল-
১ম পাগল : আমরা সকাল সকাল মেইন গেটে গিয়ে পাহারাদারকে খুব করে মারবো। তারপর গেট খুলে পালিয়ে যাবো।
২য় পাগল : হ্যাঁ, এটাই ঠিক হবে।
পরেরদিন পাগল দুটো তাদের পরিকল্পনা মতো মেইন গেটে উপস্থিত হলো।
কিন্তু গেটে কোনো পাহারাদার ছিল না,
আর গেটও খোলা ছিল।
পাহারাদারকে সেখানে দেখতে না পেয়ে নিরাশ হয়ে-
১ম পাগল : ইস... আমাদের প্ল্যানটাই ভেস্তে গেল।
পাহারাদারটা কোথায় মরতে গেছে কে জানে!
আজ ও থাকলে আমরা পালিয়ে যেতে পারতাম।
২য় পাগল : হুম...
মেইন গেটও বন্ধ নেই যে, খুলে
পালিয়ে যাবো। আজ ফিরে যাই চল। অন্যদিন আবার ট্রাই করবো।
 


১৯:
 » মজার জোকস - হাসির কৌতুক «
ঝন্টু আর মন্টু বসে সিনেমা দেখছে। সিনেমার একপর্যায়ে নায়িকাকে হারিয়ে নায়ক আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নায়ক একটা বাড়ির ছাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে— এই লাফ দিল বলে! এমন সময় বিজ্ঞাপন বিরতি শুরু হয়ে গেল।
ঝন্টু : আমার মনে হয়, নায়ক শেষ পর্যন্ত লাফ দেবে না।
মন্টু : আমার মনে হয় দেবে।
ঝন্টু : বাজি হয়ে যাক! লাফ দিলে আমি তোকে ১০০ টাকা দেব, আর লাফ না দিলে তুই আমাকে ১০০ টাকা দিবি। রাজি?
মন্টু : রাজি।
বিরতির পর দেখা গেল, নায়ক লাফিয়ে পড়ল এবং মারা গেল। মন্টু জিতে নিল ১০০ টাকা।
মন্টু : হা হা হা, আমি আসলে তোকে বোকা বানিয়েছি। এই ছবি আমি আগেও একবার দেখেছি।
ঝন্টু : তুই তো মোটে একবার, আমি এই ছবি আগে চারবার দেখেছি। কিন্তু ভাবিইনি বোকাটা একই ভুল এতোবার করবে।

২০: 

এক মেয়ের সাথে আরেক মেয়ের কথা হচ্ছে-
১ম মেয়ে : আজকালকের ছেলেদের কোন বিশ্বাস নাই। আমি তো আজকে থেকে ওর মুখও দেখতে চাই না।
২য় মেয়ে : কী হইছে? তুমি কি ওকে অন্য কোন মেয়ের সঙ্গে দেখে ফেলেছ?
১ম মেয়ে : আরে না, ও আমারে আরেক ছেলের সঙ্গে দেখে ফেলেছে। কালকে ও আমারে বলছিল, ও নাকি শহরের বাইরে যাবে। মিথ্যুক, বদ, ধোঁকাবাজ।


২১: 
 বাংলা ক্লাসের  ম্যাডাম ক্লাসে এসে সবাইকে  বললো :
কপাল - শব্দ দিয়ে একটা বাক্য রচনা করতে...
;;;
বল্টু তার খাতায় লিখলো :  কপাল আমার ভিজে গেলো চোখেরই জলে....!!
এই লেখা দেখে ম্যাডাম  বল্টুকে একটা জোড়ে থাপ্পর দিলো এবং জিঙ্গেস করলো...!!!!
;;;
ম্যাডাম : গাঁধা , চোখের জলে কি কখনো কপাল ভিজে ?
;;;;
বল্টু : ম্যাডাম পরের লাইনটা হলো : পা দুটি বাধা ছিলো গাছের ঐ ডালে !!!


২২: 
 পাবনার পাগলদের ১ বছর ভালভাবে টিটমেন্ট করার পর তাদের মানসিক উন্নতি হল  কিনা দেখার জন্য
একটি পরীক্ষা নেওয়া হল। -
-
একটি পাথরের ফুটবল দিয়ে মাঠে সব পাগলদের ছেড়ে দেওয়া হল খেলার জন্য।
-
কারন যার মানসিক উন্নত হবে সে কখনো পাথরের বল দিয়ে খেলা করবে না
-
সব পাগল এই পাথরের বলটি কে আঘাত করতে শুরু করলো। শুধু মাত্র একজন বাদে, এবং সে আমাদের বল্টু।


ডাক্তাররা মনে করলো, তার মানসিক উন্নতি হয়েছে। তাই বল্টুর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো:-
-
ডাক্তারঃ এই তুমি খেলবে না? সবাই বল দিয়ে খেলা করছে । তার মানে নিশ্চয় তুমি ভাল হয়ে গেছ।
-
বল্টুঃ না, আমি ভাবছি বলটি কখন উপরে উঠবে আর হেড মারব.........


২৩: 
 বোল্টু দোকানে গেল চা খাইতে।
চা খাওয়ার পর যখন বিল দিতে গেল !,,,,
বোল্টু: বিল কত হল?
দোকানদার: 6 টাকা ।
বোল্টু: কেন দুধ চা কত?
দোকানদার: 6 টাকা ।
বোল্টু : কেন? আমিতো রং চা খাইলাম, তা হলে আমার 1 টাকার দুধ দিয়ে দিন।
দোকানদার: হাতের তালুতে এক চামচ দুধ দিল।.
বোল্টু জিহ্বা দিয়ে চেটে দুধ খেয়ে মাটিতে গড়াগড়ি শুরু করল  ।
এটা দেখে দোকানদার ভয়ে অস্থির,,, বোল্টুর পকেটে 100 টাকা দিয়ে বললো:  ভাই তুমি হাসপাতালে যাও,,,,
বোল্টু উঠে দাঁড়িয়ে বললো কেন?
দোকানদার: মনে হয় দুধ খাওয়াতে তোমার সমস্যা হয়েছে।
বোল্টু: আরে না।
দোকানদার: তাহলে গড়াগড়ি করছিলেন কেন?
বোল্টু : আমি আগে চা পরে দুধ খাইছিতো  তাই মিক্সড করছিলাম..!


 ২৪:
 এক মহিলা ঢাকা শহরে দুপুর বেলায় ফ্লাট  বাসায় দরজা লাগিয়ে গোসল করছে।
হঠাৎ, দরজায় নক পড়লো।
মহিলা দরজার ফুটো দিয়ে দেখলো যে, পাশের বাড়ির অন্ধ বল্টু দাঁড়িয়ে আছে।
মহিলা ভাবলো,বল্টু তো অন্ধ সে কিছুই দেখতে পাবেনা ! যাই দরজাটা খুলে শুনে নেই কি বলতে চায়!
মহিলা দরজা খুলে বলল:-, কি বাবা কি হয়েছে?
অন্ধ বল্টু ঃ আন্টি আম্মু এই মিষ্টি গুলো পাঠিয়েছে
মহিলাঃ মিষ্টি কেনো বাবা?
অন্ধ বল্টু : আন্টি আজ সকাল থেকে আমি চোখে দেখা শুরু করেছি..


 ২৫: 
 একবার টারজান গাছের ডালে ঝুলে ঝুলে যাচ্ছিল ।
। হটাৎ তার লেংটি একটা ডালে বেধে খুলে গেল। তাই দেখে বনের সব প্রাণীরা হাসতে লাগলো । 
 তখন টারজান বানরকে বলল:- হাসছো কেন….?
বানর বলল:- আমার জীবনে এই প্রথম কোন প্রাণী দেখলাম  যার সামনে লেজ আছে ”।

২৬: 
 " এক অপূর্ব সুন্দরী নারী
এক কৃষক কে বলল আমি তোমাকে বিবাহ করিব।
কৃষক তো নারীর চেহারা দেখে পাগল।
কৃষক দেরি না করে নারীকে নিয়ে কাজী অফিসে গিয়ে বলল, তাড়াতাড়ি আমাদের বিবাহ দাও।
কাজী নারীর চেহারা দেখে সে নিজেও পাগল।
আরে বেটা কৃষক, তুই তো এই নারীর উপযুক্তই না,আমি বিবাহ করিব।
কৃষক আর কাজীর মধ্যে ঝগড়া লেগে গেল ।
এক পর্যায়
কৃষক আর কাজী বিচার নিয়ে গেলো বাদশাহের দরবারে
বাদশাহ নারীর চেহারা দেখে সে নিজেও পাগল।
বাদশাহ বলেন:- তোরা দুজনেই এই নারীর  অযোগ্য, বিবাহ আমি করিব।
তখন নারীকে বলা হলো-
তুমি সিদ্বান্ত দাও কাকে বিবাহ করিবে??
নারী সিদ্ধান্ত দিলো,যে আমাকে দৌড়ে ধরতে পারবে। আমি তাকেই বিবাহ করিব।
নারী দৌড় দিলো,দৌড়াতে দৌড়াতে এক সময় ছটফট করতে,করতে কৃষক মারা গেলো।তার কিছুদুর পর একই অবস্তায় কাজী টাও মারা গেল।
বাদশাহ নারীকে বললেন, এখন তো আমি  একা, চল বিবাহ করিব
তবুও নারী বলে না, আমাকে দৌড়ে ধরতে হবে।
তখন বাদশাহ বললেন,হে নারী দাড়াও
বল,তুমি আসলে কে????
নারী বললো:- আমি হলাম দুনিয়া
আমার মধ্যে আছে শুধু চাকচিক্য, মোহ, আর লোভলালসা। আমার পিছে যে দৌড়াবে, সে শুধু এভাবেই
মরবে বিনিময়ে কিছুই পাবেনা।


২৭: 
 এক মেয়েকে চুমু দেয়ার অপরাধে আদালতের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে বল্টু.......
.
বিচারকঃ  বল্টু, তুমি মেয়েটিকে চুমু দিয়েছিলে কেনো?
.
বল্টুঃ স্যার, বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছা করে চুমু দিইনি।
.
ঐ মেয়েটিই তো চুমু দিতে বলেছে।
.
বিচারকঃ চুপ কর বিয়াদপ...!
.
বল্টুঃ স্যার, আগে শুনবেন তো... ঐ মেয়েটির গায়ের জামার সামনেই লেখা আছে"kiss me" আমার কি দোষ?
.
বিচারকঃ তোমার কি আর কিছু বলা আছে?
.
বল্টুঃ স্যার, আমার ভাগ্য ভাল যে আমি মেয়েটির সামনে ছিলাম,
.
পিছনে কি লিখা ছিল জানেন স্যার?
.
বিচারক - কী লেখা ছিলো....
. .
বল্টু - "use me"
.
.
—বিচারক বেহুশ.......


২৮: 
 এক বনে এক বাঘের বাচ্চার মা- বাবা মারা গেল। তো এক রাখাল ছেলে বাঘের বাচ্চাটিকে দেখে খুব মায়া হল!!
সে বাচ্চাটাকে নিজে ভেড়ার পালের সাথে লালন পালন করতে লাগল। বাঘের বাচ্চাটা শিকার ধরার পরিবর্তে ঘাস
খাওয়া শুরু করল,,

সে ভুলে গেল,  যে  সে বাঘের বাচ্চা! সে নিজেকে ভেড়ার বাচ্চা মনে করতে লাগল।
সে ভেড়ার মত আচরন করতে শুরু করল। তার একটি দুঃখ বাকি ভেড়াদের মত তার কোন সিং নেই,,ফলে সবাই
তাকে সিং দিয়ে গুতো মারে সে কিছু করতে পারে না!
একদিন, বনের কিছু বাঘ এটি দেখল,
তারা তাকে বুঝাল তুই ভেড়ার বাচ্চা না, তুই বাঘের বাচ্চা!
তুই একটা হুংকার দিয়ে দেখ ভেড়ার পাল জান নিয়ে পালাবে।
তাদের কথা মত বাঘের বাচ্চাটি ভেড়ার পালের কাছে গিয়ে হুংকার
দিল,, অমনি সব জান নিয়ে পালিয়ে গেল  ।

( তাই নিজেকে দেখো তোমার মাঝে লুকিয়ে অাছে  অনেক কিছু  যা তুমি  জানো না  । )

২৯:
 বল্টু মৃত্যুর মুখে...
বল্টু:- তোমার সব দামি সোনার গয়না আমি চুরি করেছিলাম... মাফ করে দিও গো!!
টুনি:- কেঁদে কেঁদে) এসব কথা বাদ দাও গো... তোমাকে আমি মাফ করেছি... তোমার মৃত্যু মানতে পারছিনা।
বল্টু:- আর তোমার ভাইয়ের পাঠানো দু লাখ টাকাও লুট করেছিলাম... এর জন্যও ক্ষমা করে দিও গো!!
টুনি:- ( আরো কেঁদে কেঁদে) তুমি এসব আজেবাজে কথা বাদ দাও গো... ঐসব কথা আমি ভুলে গেছি!!
বল্টু:- আর আমি আবুলের বউ অর্থাৎ আমার প্রেমিকাকে লুকিয়ে শাড়ি কিনে দিয়েছিলাম...এর জন্য ক্ষমা করে দিও!!

টুনি:- এসব কথা আমি জানতাম গো... তাই তো সব প্রতিশোধ নিলাম... তোমার খাবারে আমিই বিষ দিয়েছিলাম...
সব প্রতিশোধ একবারে নিয়ে নিলাম...এর জন্য আমাকেও মাফ করে দিও গো!!
ওমা... বল্টু দেখি মরার আগেই বেহুশ হলো.......


৩০:
 হাঁসতে হাঁসতে লুঙ্গী খুইলা যাইবো ....
---++---
একলোকের অনেক চেষ্টা করার পরও কোনো সন্তান হয়না | তাই সে এক দরবেশ বাবার কাছে গিয়ে সাহায্য চাইলো  । দরবেশ বলল:- যা এই বার তোর সন্তান হবে | 
ঠিক কদিন পর লোকটার একটা মেয়ে হল |
লোকটা খুশি হয়ে দরবেশের কাছে গেল ।
তার মেয়ের কি নাম রাখবে ??  কিন্তু
দরবেশ বাবা ঐ সময় ধ্যান করতেছিলো, আর ধ্যান ভাঙ্গার কারনে বিরক্ত হয়ে বললো:-" দূর বাল " |
লোকটা মনে করে করলো,-,দরবেশ তার মেয়ে নাম বাল রাখতে বলেছে ।
তাই সে তার মেয়ের নাম রাখলো বাল ।
| কয়দিন পর আবার তার একটা ছেলে হলো |
লোকটা খুশি হয়ে আবার দরবেশের কাছে গেল তার ছেলের কি নাম রাখবে ??

 দরবেশ বাবা,  ঐ সময়ও ধ্যান করতে ছিলো, আবার ধ্যান ভাঙ্গার কারনে বিরক্ত হয়ে বলে-" দূর চেট " |
লোকটাা মনে করে করল:
দরবেশ তার ছেলের নাম চেট রাখতে বলেছে | তাই
সে তার ছেলের নাম রাখলো চেট |
কয়দিন পর আবার তার  ছাগলের একটা বাচ্চা হলো |
লোকটা খুশি হয়ে আবার দরবেশের কাছে গেল তার ছাগলের বাচ্চার কি নাম রাখবে ?? 

দরবেশ রাগ হয়ে বলল- তুই ছাগলের বাচ্চার নাম রাখার জন্য আমার কাছে আইসোস তাইলে আমার পুটকি
রাখ | লোকটা তাই পুটকি নাম রাখলো |
আস্তে আস্তে তার মেয়ে বড় হলো,
এবং মেয়ের বিয়ে ঠিক হল | বিয়ের দিন বর আসলে সবাই বলল - এই বালের  জামাই আইছে ,বালের জামাই আইছে |
জামাই এ কথা শুনে রাগ করে বিয়ে না করে চলে যাইতে চাইল ।
| এই সময় শশুর এসে জামাই কে বলল -
বাবা তুমি রাগ করিও না , তুমি তো আমার চেটের মত | 

জামাই তো আরও রাগ করে বললো:- না এখনি চলে যাবো |
তখন শশুর বললো - আমি এত কষ্ট করে আমার পুটকির মাংস রান্না করেছি আর তুমি না খাইয়া যাইবা এইটা
কিভাবে সম্ভব ?? তুমারে আমার পুটকির এক টুকরা মাংস
খাইতে হইবই.।।


৩১: 
 একদিন.  বল্টু আর কুদ্দুস অফিস শেষে ফ্ল্যাটে আসতেছে.........!!!
বল্টুঃ- কি রে কুদ্দুস । লিফট বন্ধ ক্যান ?

কুদ্দুসঃ- মনে হয় লিফট নষ্ট হইছে ।
বল্টুঃ- হায় হায় ! এহন তাইলে ১১০ তলায়  উঠমু ক্যামনে ?
কুদ্দুসঃ- সমস্যা নাই । সিঁড়ি দিয়া উঠমু !
বল্টুঃ- আমি পারমু না ?
কুদ্দুসঃ- শোন , আমি একটা মজার কথা কমু আর সিঁড়ি দিয়া উপরে উঠতে থাকমু । আমার মজার কথা শেষ হইলে তুই
একটা দুঃখের কথা বলবি । এইভাবে কথা কইতে কইতে আমরা ১১০ তলায় উইঠা যামু ।
বল্টুঃ- আইচ্ছা ঠিক আছে ।

(কুদ্দুসের মজার কথা শুরু)
.
কুদ্দুসঃ- (মজার কথা শেষ কইরা ) দেখছস আমরা এহন কথা কইতে কইতে ৯০ তলায় আইসা পড়ছি । এহন তুই একটা দুঃখের  কথা কইতে থাক ।

বল্টুঃ- দুঃখের কথা আর কি কমু , ফ্ল্যাটের চাবি তো গাড়িতে রাইখা আইছি ।.
.
কুদ্দুশ তো বেহুশ......


৩২: 
 বল্টু মুরগির খামার দিয়েছে...

কিন্তু মুরগি ঠিকমত ডিম দেয়না...
একদিন রেগে গিয়ে বল্টু মুরগিদের বলল,"এরপর থেকে 4টা ডিম না দিলে জবাই করে খেয়ে ফেলবো!!"
.
তারপরের দিন বল্টু খামারে গিয়ে দেখলো যে সব মুরগি 4টা করে ডিম দিয়েছে। কিন্তু 2টা মুরগি 2টা করে ডিম দিছে  !!!
.
প্রথম মুরগিকে বল্টু বলল,"কিরে তুই 2টা ডিম দিছস  কেন?"
মুরগি বলল, "কি আর করমু?  ডিম চুরি হয়ে গেছে !!"
.
পরের মুরগিকে বল্টু বলল-,"ওর তো ডিম চুরি হয়ে গেছে।তোর আবার কি সমস্যা??"
.
পরের মুরগি রেগে বলল,"আমি তো মোরগ হয়েও 2টা ডিম দিছি।আর কত চাস..... !!!


৩৩: 
 হাঁসতে হাঁসতে পেট ব্যাথা করবে ১০০%

একদিন রাতের বেলা মন্টু আর ছন্টু মিলে অনেকগুলো আম চুরি করছে, কিন্তু এতগুলা কোথায় ভাগাভাগি করবে  বুঝতে পারতেছিল না।
 সামনেই একটা কবরস্থান ছিল। তারা দেওয়াল টপকে কবরস্থানের ভিতর ঢুকে পড়লো।
 কিন্তু দেওয়াল পার হওয়ার সময় দুইটা আম ঝাঁকি খেয়ে পড়ে গেলো, তারা সেটা তোলার সময় পেলোনা। 
তো এক মাতাল সেই রাস্তা দিয়া যাইতেছিল, কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শুনতেছে 
"এটা তোর, এটা আমার, এটা তোর, এটা আমার!"
এই শুনে মাতাল দ্রুত হাঁটা দিল। সামনেই এক পুলিশের দেখা পেয়ে বলতেসে,
"ভাই, কবরস্থানে ভূত আছে। লাশ ভাগাভাগি করতাসে। আরেকটু হইলে আমারেও খাইছিলো।
অনেক কষ্টে বাঁইচা আসছি।"
পুলিশ বললো, "চলেন দেখি, কোথায় ভূত কোথায় কি!"
দুইজনেই কবরস্থানের কাছে পৌছালে, শুনতেছে
"এটা তোর, এটা আমার, এটা তোর, এটা আমার"
পুলিশ তো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে।
হঠাৎ মন্টু বলে উঠলো,
"তাইলে দেওয়ালের ওই পাশের দুইডারে কি করবি?"
এই কথা শুইনা পুলিশ ও মাতাল ওখানেই অজ্ঞান হইয়া পড়ল ।


৩৪: 
 স্যারঃ ওই আবুইল্লা তোর হোমওয়ার্ক কই..?
আবুলঃ স্যার আমার হোমওয়ার্কের খাতাটা আমাদের বাড়ির কুত্তাটা খায়া ফেলছে তাই আনতে পারি নাই।
স্যার আবুলকে বসিয়ে দিল। এটা দেখে
বল্টুও স্যারের হাত থেকে বাঁচার জন্য বুদ্ধি করলো


স্যারঃ ওই বল্টু তোর হোমওয়ার্ক কই..?
বল্টুঃ স্যার আমার হোমওয়ার্কের খাতাটা আমি খেয়ে ফেলছি।
স্যারঃ কি !! তুই খাইছস কেন..?
বল্টুঃ কি করমু স্যার,
আমগো বাড়িতে-তো কুত্তা নাই...।


৩৫: 
 বল্টু & নেপাল দুই বন্ধু।
 একদিন তারা ক্লাসে গেলো। শিক্ষক সবাইকে উদ্ধেশ্য করে বললেন, কাল মন্ত্রী কলেজে আসবেন, তোমাদের তিনি
যা প্রশ্ন করবেন, তার ঠিক ঠিক উত্তর দিয়ো.. পরের দিন ক্লাসে আসার সময় নেপালের টয়লেটে ধরলো।
নেপাল :: বল্টু তুই ক্লাসে যা, আমি পায়খানা করে আসি !!
বল্টু :: আচ্ছা ঠিক আছে , তারাতারি আয় ।
ক্লাসে ঢুকার কিছুক্ষন পর মন্ত্রী আসলেন মন্ত্রী সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন,, একটা প্রস্ন করবো কে উত্তর দেবে?
বল্টু :: আমি দেবো স্যার, বলুন ।
মন্ত্রী :: বলোতো, নেপাল কোথায় অবস্থিত??
বল্টু ::: স্যার,, নেপাল লেপ্টিনের ভেতর অবস্থিত ....


৩৬: 
 দুইজন লোক গেল চাকরির ইন্টারভিউ দিতে...
প্রথমজন আগেই প্রশ্নকর্তাকে ঘুষ দিয়ে রাখছিলো!!

 প্রশ্নকর্তা প্রথমজনকে প্রশ্ন করলেনঃ তুই ডগ বানান কর
প্রথম জনঃ DOG.
প্রশ্নকর্তাঃ সাবাস।
এরপর তিনি দ্বিতীয় জনকে বললেনঃ তুই হিপোপটমাস বানান কর।
দ্বিতীয় জনঃ এটা তো পারি না প্রশ্নকর্তাঃ তুই পারিস নাই তুই বাদ। ওর চাকরি হয়া গেছে।
দ্বিতীয় জনঃ মানি না। আমারে কঠিনটা ধরছেন ওরে সহজটা ধরছেন।
প্রশ্নকর্তাঃ আচ্ছা ঠিক আছে আবার। এই তুই বল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কতজন মারা গেছে?
প্রথম জনঃ ৩০ লক্ষ।
প্রশ্নকর্তাঃ সাবাস।
….. এরপর দ্বিতীয় জনকে বললোঃ তুই ওই ৩০লক্ষ মানুষের নাম বল  দ্বিতীয় জন বেহুশ!!


৩৭: 

এক সুন্দরী যুবতী বাসস্টপে বাসের জন্য  অপেক্ষা করছে।
বাস আসতেই যুবতীটি বাসে উঠতে গিয়েও পারল না কারন তার পরনের স্কার্টটি ছিল ভীষন টাইট। যুবতীটি পিছিয়ে এসে তার স্কার্টের পিছনের চেইন একটু আলগা করে নিল। কিন্তু ততক্ষনে বাস ছেড়ে দিয়েছে। 

পরবর্তি বাস আসলে আবার উঠার চেষ্টা করল। কিন্তু এবারও পারল না স্কার্ট টাইট থাকার কারনে। যুবতীটি আবার পিছিয়ে এসে তার স্কার্টের পিছনের চেইন আরেকটু আলগা করে নিল।
 কিন্তু এর পরবর্তি বাসে উঠতে গিয়েও একি অবস্থা, স্কার্ট এখনও টাইট।
 যুবতীটি আবার পিছিয়ে এসে তার স্কার্টের পিছনের চেইন একটু
আলগা করার জন্য টান দিতেই পিছন থেকে একটা লোক  যুবতীটিকে ধরে বাসে তুলে দিল আর
নিজেও বাসে উঠে পড়ল !!
যুবতী তো রেগে আগুন। চিৎকার করে বলে উঠল,
আপনার এত্ত বড় সাহস! কোন অধিকারে আপনি আমার গায়ে হাত
দিলেন ?? 

লোকঃ ! ! ! ! ! আমিওতো তাই জিগাই!
 কোন অধিকারে আপনে আমার প্যান্টের চেইন ধইরা তিনবার টান
মারলেন !!


৩৮:
 এক কিপটে গেছে চিরুনি কিনতে
 কিপটে:- ভাই সাহেব, আমার একটা নতুন চিরুনি দরকার। পুরোনোটার একটা কাঁটা ভেঙে গেছে..।
দোকানদার:- একটা কাঁটা ভেঙে গেছে বলে আবার নতুন চিরুনি কিনবেন কেন? ওতেই তো চুল আঁচড়ে নেওয়া যায়।
কিপটে:- না রে, ভাই, ওটাই আমার
চিরুনির শেষ কাঁটা ছিল যে ,,


৩৯: 
ম্যাডাম ক্লাশে পড়াচ্ছেন।
>>তো এক ছাত্র দাড়িয়ে বললঃ- ম্যাডাম আপনার কাধের তিল টা না খুব সুন্দর দেখাচ্ছে!!
ম্যাডামঃ (রেগে) কি বললি? বেয়াদপ ছেলে ক্লাশ থেকে বের হয়ে যা, আগামী ৫ দিন যাতে তোকে ক্লাশে না দেখি।
>>ম্যাডাম আবার পড়ানো শুরু করল। কিছুক্ষন পর--
আরেকটি ছেলে দাডিয়ে বললঃ-  ম্যাডাম আপনার কোমরের তিল টা না হেব্বি লাগছে!!
ম্যাডামঃ কি!!! (প্রচন্ড রেগে) এক্ষুনি ক্লাশ থেকে বের হয়ে যা,আগামী ১০ দিন যাতে তোকে ক্লাশে না দেখি।
>>এই বলে ম্যাডাম আবার পড়ানো শুরু করল।
>>হঠাত্ বল্টু ব্যাগ নিয়ে ক্লাশ থেকে বের হয়ে যেতে লাগল। তো ম্যাডাম
বলতেছেঃ- কী ব্যাপার বল্টু তুমি কই যাও?
বল্টু বলতেছেঃ- ম্যাডাম আমি যা দেখে ফেলেছি, তাতে আমার  হয়তো আর স্কুলেই পড়া হবেনা !!!


৪০:
 ******
টিচারঃ বল্টু আমাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত ইংলিশে গাও তো,
বল্টুঃ মাই গোল্ড বাংলা , , , , , আই লাভ ইয়ু,
চিরদিনী ইয়োর ইস্কাই ইয়োর বিস্কাই, মাই প্রানে, ও মাদার মাই প্রানে বাজায় বাশি

 গোল্ড বাংলা আই  লাভ ইয়ু, ,
 ও মাদার ফাগুনে তোর ম্যাঙ্গোর বনে ঘ্রানে মেন্টাল করে,
 মরি হায় হায়রে 
ও মাদার ফাগুনে তোর ম্যাঙ্গোর বনে ঘ্রানে মেন্টাল করে,,,,,,,,,,
টিচার:-
বেহুশ . ! ! !


৪১:
*****
 
বিয়ের ৩ মাস পরই
হাবলু'র বউ-এর বাচ্চা হল...
হাবলু তার বউকে জিজ্ঞাসা করলোঃ “আচ্ছা,আমাদের বিয়ের ৩ মাস পরই বাচ্চা কেমনে হল?”
হাবলু'র বউ বললোঃ “তোমার বিয়ের কয় মাস হইসে?”
হাবলু কয়ঃ “৩ মাস!”
হাবলু'র বউ আবার জিগায়ঃ “আমার বিয়েরকয় মাস হইসে?”
হাবলু আবারো কয়ঃ “৩ মাস!”
হাবলু'র বউ আবার জিগায়ঃ “আর,  বাচ্চা কয় মাস পরে হইসে??”
হাবলু আবারো কয়ঃ “৩ মাস!” এইবার হাবলুর বউ
জিগায়ঃ “তাহলে মোট কয়মাস হইল?”
হাবলু খুশি তে লাফাইতে লাফাইতে কইলোঃ “নয় মাস!
আমি তো ভয় পাইয়া গেসিলাম!!”
হাবলুর বউ মুচকি হাইসা কইলোঃ হাবলু
তো হাবলুই....

8 comments:

  1. ভাই অনেক ভাল লাগল

    ReplyDelete
  2. জাতিয় সংগিত পইরা অামার অবস্থা টাইট

    ReplyDelete
  3. Replies
    1. durgamer path

      এই গল্পটি পডুন ভালোলাগবে।

      Delete
  4. লুঙ্গি খুলে গেছে

    ReplyDelete
  5. খুব সুন্দর মজার গল্প। এই ধরনের মজার ও হাসির গল্প, মোটিভেশনাল উক্তি এবং রহস্য গল্প পড়তে ভিজিট করুন অনুপ্রেরণা ডটকম

    ReplyDelete